২৪ জুন ২০১৬

Dilip Poddar

রেকড ৪৩ টি বিয়ে করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছেন এই ফকির।না পড়লে মিস করবেন।



জানা অজানা,বিশ্বরেকর্ড, অদ্ভুত রেকড, বিয়ে,



নিজের মনের কোণে উঁকি দেয়া স্বপ্ন পূরণে টাকার অভাবে যেখানে বিয়ে করার সাহস পায় না মানুষ সেখানে আবার একাধিক বিয়ে! ধনাঢ্য দেশ সৌদির মত ছেলেরা যেখানে টাকার কারণে বিয়ে করতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে এক ভিখারি ৪৩টি বিয়ে করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

আজ বিশ্বের যতসব অকল্পনীয় ঘটনা। বিশ্বাস না হলেও ঘটনা কিন্তু সত্যি। এমন অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার সদর স্টিটের ফায়ার ব্রিগেডের ঠিক একটু সামনে গুলিস্তানে। বিয়ে করে রেকর্ড সৃষ্টি করা ফকির সম্ভবত তিনিই প্রথম।

ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কিংবা রাজা রামমোহন রায়ের সময়কার ঘটনা হয়তো অনেকেই জানেন। সেই সময়ে ততকালীন হিন্দু সমাজে বিয়ে নিয়ে কিছু প্রথা প্রচলিত ছিল। ব্রাহ্মণের মেয়ের সাথে ব্রাহ্মণের ছেলের বিয়ে হবে কোনোক্রমেই এ নিয়ম অগ্রাহ্য করা যাবে না।

দেখা গেল কোনো পরিবারে দশ থেকে বারোজন মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েছে কিন্তু কোনো ব্রাহ্মণ ছেলে পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে কনের বাবা অনেক চিন্তিত। এ সময় পাওয়া গেল কোনো এক ব্রাহ্মণ বয়স্ক পাত্র।

মেয়ের বাবা জাত রক্ষার্থে তার সব মেয়েকেই এক ব্রাহ্মণের সাথে বিয়ে দিতেন। এভাবে দেখা যেত কোনো ব্রাহ্মণ ছেলের প্রায় দুই তিনশ’ বউ থাকতো। এই ব্রাহ্মণরা তাদের বউয়ের হিসাব রাখার জন্য কাগজে লিখে রাখতেন।জানা অজানা,বিশ্বরেকর্ড, অদ্ভুত রেকড, বিয়ে,

বিভিন্ন পালা পার্বণে ব্রাহ্মণ সব বউয়ের কাছে যেতে পারতেন না। এ জন্য তার পিএসকে পাঠাতেন, মেয়েটি হয়তো আশা করে আছে তার স্বামী আসবে বিয়ের পরে। দেখা হবে এই প্রথম। হ্যাঁ, মেয়েটি হয়তো তার স্বামীর চেহারাও ভুলে গেছে। সেই পিএস এসে উপহার তো নিয়েই গেল উপরন্তু ব্রাহ্মণের বউয়ের সাথে সময় দিয়ে গেল।

ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কাছ থেকে অনেকেই বিধবা বিয়ে করার জন্য টাকা নিতেন। কিন্তু বিয়ে করা তো দূরের কথা টাকা নিয়ে বিদ্যাসাগরের সামনেই আর আসতেন না। রাজা রামমোহন রায় কিংবা বিদ্যাসাগরের সময়কার এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা।

ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনের চাকা ঘুরিয়েছেন হয়তো এমন ফকিরের নাম শুনেছেন কেউ। ভিক্ষা করে আবার কেউবা ব্যতিক্রমভাবে জীবনযাপন করেন একথাও শুনেছেন। কিন্তু বিয়ে করে রেকর্ড সৃষ্টি করা ফকিরের কথা হয়তো এটাই প্রথম।

এমন আজব ফকিরের সন্ধান মিললো কলকাতার গুলিস্থান হোটেলের সামনে। এই ফকির দেখতে খুব সুদর্শন। নাম তার মাল্লু শাহ। পেশায় তিনি ভিক্ষুক হলেও এখন আর ভিক্ষা করেন না।

মাল্লু শাহের ভিক্ষা করার আর প্রয়োজন পড়ে না। কারণ ভিক্ষা করার জন্য আছে তার ৪৩ জন বউ। মাল্লু শাহের বয়স এখন প্রায় ৭২ বছর। থাকেন কলকাতার সদর স্টিটের ফায়ার ব্রিগেডের ঠিক একটু সামনে গুলিস্থান হোটেলের কাছে। মাল্লুর বয়স যখন পাচ বছর তখন থেকেই তিনি এ অঞ্চলে আছেন।

প্রথমে তিনি নিউমার্কেট থেকে শুরু করে মার্কাস স্ট্রিট এবং রাফি আহমেদ রোড অঞ্চলে ভিক্ষা করতেন। এভাবে এক সময় এই অঞ্চলে ভিক্ষুকদের সর্দার হন তিনি।

এ অঞ্চলে নতুন কোনো ভিক্ষুক এলে প্রথমে মাল্লুর অনুমতি নিতে হতো। মাল্লু প্রথমে বিয়ে করেন মাত্র তেরো বছর বয়সে। এরপর প্রায় ত্রিশ বছর সংসার করার পর তার বউ মারা যায়। মাল্লু ভিক্ষুকদের সর্দার হবার পর থেকে তার রুচিতে পরিবর্তন আসতে থাকে।

যখন কোনো মধ্যবয়সী কিংবা অল্প বয়সী মেয়ে ভিক্ষা করার জন্য অনুমতি নিতে আসতো মাল্লু তাদের বেশ ভালোভাবেই নিয়ম কানুন বুঝিয়ে দিতেন। এদের মধ্য কাউকে পছন্দ হলে মাল্লু তাকে বিয়ে করতেন। মাল্লু এভাবে প্রায় পঞ্চাশের অধিক মহিলাকে বিয়ে করেছেন। এখন পর্যন্ত মাল্লুর সাথে আছে ৪৩ বউ।

মাল্লু সব বউকে ভিক্ষা করার পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। তবে প্রত্যেক বউকে প্রতিরাতেই তার কাছে হাজিরা দিতে হয়। প্রত্যেক বউয়ের থেকে মাল্লু প্রতিদিন ২০ টাকা করে নিয়ে থাকেন। নিজের বউ ছাড়া অন্য ভিক্ষুকের কাছ থেকে মাল্লু প্রতি সপ্তাহে মাসোহারা নিয়ে থাকেন।

  জানা অজানা,বিশ্বরেকর্ড, অদ্ভুত রেকড, বিয়ে, --তবে মাল্লু ৪৩ বউকে নিয়ে একসাথে থাকেন না। মাল্লুর সাথে থাকে মাত্র তিন বউ। এদের বয়স বিশ থেকে ত্রিশের মধ্য। আরো অধিক মেয়েকে বিয়ে করে ভিক্ষাবৃত্তির পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দিতে চান মাল্লু।

Dilip Poddar

About Dilip Poddar -

He is 25 year old geeky nerd from a little town in India. He is an avid Blogger, Web Designer and Freelancer. He is mostly interested in SEO and playing with codes.our New Blogger ko hamesha honest ka sath help karte.

Subscribe to this Blog via Email :