২২ জুলাই ২০১৬

Dilip Poddar

ফেসবুকে বেশি সময় থাকলে যে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে

ফেসবুকে বেশি সময় থাকলে যে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে
ফোনে দু-মিনিট কথা বলে নিলে যেখানে ঝামেলা চুকে যেত, তা না করে টেক্সটিং চলতে থাকে অবিরাম ৷ উত্তর পেতে দেরি হলে বাড়ে স্ট্রেস৷ আবার মুখোমুখি কথা না বললে হাবে-ভাবে, গলার স্বরে, চোখের চাহনিতে যে ভাবের আদান-প্রদান, তার সুখ বা সুবিধে পাওয়া যায় না বলে ভুল বোঝাবুঝি, টেনশন বাড়লেও অনেক সময় তা অধরা থেকে যায়৷ তা থেকেও স্ট্রেস হতে পারে৷ কাজের দুনিয়াতেও তাই৷ মেইলে গুরুতর থেকে সাধারণ মতের আদান-প্রদান৷ কথার বিকল্পে টেক্সটিং৷ ঘুমের সময়ও খোলা থাকে হোয়াটস অ্যাপের দরজা৷ ফলে ৮-৯ ঘণ্টার কাজের সময় এগোতে এগোতে ১২-১৪ ঘণ্টা ছাড়িয়ে যায়৷ টান পড়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কে৷ আবার যাঁর টেকনোলজি ফোবিয়া আছে, এতো কিছুর সঙ্গে মানিয়ে চলা সম্ভব হয় না তাঁর পক্ষে৷ তার হাত ধরে বাড়ে তাঁর স্ট্রেস ও উদ্বেগ৷ সাম্প্রতিক গবেষণা বলে ডিজিটাল স্ট্রেসের সব চেয়ে বড়ো কারণ হলো টেকনোলজি ফোবিয়া৷ সবাই সব কিছু শিখে নিল, আর আপনি পিছিয়ে রইলেন এই মনোভাব থেকে মারাত্মক স্ট্রেস হতে পারে৷ এই স্ট্রেস কাটাতে চাইলে প্রথমেই বুঝে নিন, যে ব্যাপারগুলো কঠিন কিছু নয়৷ চাইলেই শিখতে পারবেন৷ কিন্ত্ত এতটুকু চাইবেন বা আদৌ চাইবেন কিনা সেটা আপনার ব্যাপার৷ সব চেয়ে ভালো হয় কাজের বা আনন্দের জন্য যতোটুকু দরকার, ততোটুকু শিখে নিলে৷ ট্রেন্ডি হওয়ার লোভে বাজারে আছে বলেই লেটেস্ট মোবাইল বা আইপড কিনে হাবুডুবু খেয়ে কাজ নেই৷ দরকার নেই সব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নাম লেখানোরও৷ তার চেয়ে পুরোনো ধাঁচে জীবনকে উপভোগ করার চেষ্টা করলেই বরং ভালো হবে৷ ভারচুয়াল নয়, বাঁচুন রিয়েল ওয়ার্ল্ডেঃ আসল জগত্‍ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেবেন না৷ টেকনোলজির বাইরেও নিজেকে ছড়িয়ে দিন৷ টেকনোলজির সৃষ্টি হয়েছে জীবনযাপন সহজ করার জন্য৷ কিন্ত্ত তার বদলে যদি জীবন কঠিন হয়ে যায়, মানসিক অশান্তি শুরু হয়, বুঝতে হবে আপনি ব্যাপারটাকে হ্যান্ডেল করতে পারছেন না৷ কাজেই আজ থেকেই নিয়ম করে কাজের সময় ও ব্যাক্তিগত সময়কে আলাদা করে নিন৷ কলিগদের জানিয়ে দিন যে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর আপনাকে পাওয়া যাবে না৷ প্রয়োজনে একটাআলাদা ফোন রাখুন যেখানে নেহাত্‍ ইমার্জেন্সি ছাড়া কেউ ফোন করবেন না৷ রিল্যাক্সেশনের সময়ে ই-মেল বা টেক্সট পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব না হলে চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে চেক করতে৷ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ই-মেলে না করে সামনাসামনি বসে করুন৷ কম সময়ে, ভুল বোঝাবোঝি এড়িয়ে সমাধানে পৌঁছোতে পারবেন৷ ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও টেক্সিং বা মেলের চেয়েঅনেক দামী হলো সামনে বসে কথা বলা৷ কোথায়, কখন মিট করবেন বা কী নিয়ে আলোচনা হবে তা ঠিক করতে না হয় টেকনোলজির সাহায্য নিন, কিন্ত্ত মূল কথাবার্তা হোক মুখোমুখি বসে৷ এতে স্ট্রেস কমবে৷ সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে৷ হপ্তাহান্তে এক দিন বা অন্তত এক বেলা টেকনোলজির সঙ্গে যথাসম্ভব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে যা করতে ভালোলাগে তাই করুন৷ জিমে গা না ঘামিয়ে খোলা জায়গায় মর্নিং ওয়াক করুন৷ কানে আইপডের তার না গুঁজে ভোরের আওয়াজকে আপন করে নিন৷ ফ্যামিলি টাইম ও মি-টাইমের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ নয়৷ একঘণ্টা দু-ঘণ্টা, যতোটুকু সময়ই রাখুন এ বাবদ, তা যেন কম্পিউটার বা মোবাইল ফ্রি থাকে যথাসম্ভব৷ নেটে পড়াশোনা করার পাশাপাশি বই পড়াও বই পড়াও বজায় রাখুন৷ বিছানায় যাওয়ার অন্তত দু-এক ঘণ্টা আগে থেকে নেট, মোবাইল সব বন্ধ করে দিন৷ অনিদ্রার হাত থেকে মুক্তি পাবেন৷ কাজের খুব ক্ষতি হয়তো হবে না তাতে৷ মনে রাখুনঃ ১ .মূল কথাবার্তা হোক মুখোমুখি বসে৷ এতে স্ট্রেস কমবে ২. ফ্যামিলি টাইম ও মি-টাইমের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ নয় ৩. নেটে পড়াশোনা করার পাশাপাশি বই পড়াও বজায় রাখুন ৪. বিছানায় যাওয়ার অন্তত দু-এক ঘণ্টা আগে থেকে নেট, মোবাইল সব বন্ধ করে দিন ৫. অন্তত এক বেলা টেকনোলজির সঙ্গে যথাসম্ভব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে যা করতে ভালোলাগে তাই করুন

Dilip Poddar

About Dilip Poddar -

He is 25 year old geeky nerd from a little town in India. He is an avid Blogger, Web Designer and Freelancer. He is mostly interested in SEO and playing with codes.our New Blogger ko hamesha honest ka sath help karte.

Subscribe to this Blog via Email :