ডায়েবেটিস,মিস্টি, হৃদ্রোগ, স্থূলতা
ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, স্থূলতা ইত্যাদি সমস্যা থাকলেও মিষ্টি দেখলে লোভ সামলানো দায়। কিন্তু সুস্থ থাকতে চাইলে মিষ্টি খাবার খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।
জেনে নিন কয়েকটি কৌশল:
* সরল চিনি সহজে রক্তে মিশে যায়। সেগুলো যতটা সম্ভব, একটু একটু করে বাদ দিন। এতে আপনার মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে প্রস্তুত হয়ে উঠবে।
* দুধ, টক দই বা দুগ্ধজাত খাবারগুলো বেশি বেশি খান। এতে আপনার মস্তিষ্কের তৃপ্তিকেন্দ্র উজ্জীবিত হবে। খিদে বা বেশি খাওয়ার ইচ্ছে দূর হবে।
* হঠাৎ মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে একটু বাদাম, ফল বা শুকনো ফল, চুইংগাম ইত্যাদি চিবোতে শুরু করবেন। অথবা চট করে খানিকটা হেঁটে আসুন বা মনোনিবেশ করুন কোনো শারীরিক পরিশ্রমের কাজে। অনেকেরই মূল খাবারের পর মিষ্টি ডেজার্ট খান, সেটা ধীরে ধীরে ফলমূল বা দইজাতীয় ডেজার্টে রূপান্তরিত করুন।
* মানসিক চাপে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে। সেই চাপ মোকাবিলার জন্য শরীরচর্চা করুন বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, শিথিলায়ন করুন।
* বেশি খিদে পেলে শরীর শর্করা বা চিনির জন্য ছটফট করে। তাই বেশি খিদে লাগতে দেবেন না। দুটো মূল খাবারের মাঝখানে হালকা নাশতা করবেন। খাবারে বড় ব্যবধান নেবেন না।
* নিজেকে বঞ্চিত ভাববেন না। নিষেধ থাকলেও মাসে একবার একটা মিষ্টি খাওয়ার পরিকল্পনা করতে পারেন। সেটা যেন ১৫০ ক্যালরির বেশি না হয়।