ডায়বেটিস
আমাদের দেশে দিন দিন ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ডায়বেটিস ধরা পড়লে আতংকিত হবার কিছুই নেই। মনে রাখতে হবে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই হল ডায়বেটিসের প্রধান সমাধান। তাই, শরীরে ডায়বেটিস ধরা পড়লে, অথবা আপনার ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকলে তাতে ভয় না পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
ডায়েবেটিস
সাধারনভাবেই আমরা জানি, ডায়বেটিসে আক্রান্ত হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। আমরা সারাদিনে যা খাই তার বেশীরভাগ অংশই আমাদের শরীরে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়। গ্লুকোজ আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের কাজ করার জন্য প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ শরীরে ব্যবহৃত হওয়ার পর বাড়তি গ্লুকোজগুলো রক্তে থেকে যায়। রক্তের এ বাড়তি গ্লুকোজগুলো আবার রক্তে থাকা ইনসুলিনের সাহায্যে কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ায় জমা থাকে ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসেবে। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন তাদের রক্তে ইনসুলিন নামক উপাদানটি সঠিকভাবে কাজ নাক অরায়, রক্তের বাড়তি গ্লুকোজ আর মাইটোকন্ড্রিয়ায় জমা হতে পারে না। তাই তখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী যদি তাদের রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ জমতে না দেয় অথবা জমে থাকা অতিরিক্ত গ্লুকোজগুলো কাজে লাগাতে পারে, তবেই তারা নিরাপদ থাকতে পারে। আর এ অতিরিক্ত গ্লুকোজগুলোকে কাজে লাগানোর একমাত্র ভালো উপায় হল, প্রতিদিন রুটিন মাফিক কিছু ব্যায়াম করা। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের জেনে রাখা ভালো যে, এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সহজ কিছু ব্যায়াম ও নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো যায় ৮০ শতাংশ। তাই ডায়বেটিসের ঝুঁকি এড়াতে, ডায়বেটিস
* প্রতিদিন নিয়ম করে ২০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। শুধু নিজে ব্যায়াম করলেই চলবে না। পরিবারে ডায়বেটিসের ঝুঁকি থাকলে, নিজের সাথে সাথে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও দিনে অন্তত কিছু সময় ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজে উৎসাহিত করুন।
* দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরে অতিরিক্ত মেদ কিংবা চর্বি জমতে দেয়া যাবে না। উচ্চতা অনুযায়ী দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যায়ামগুলো করতে হবে।ডায়েবেটিস
* যারা দিনের বেশীরভাগ সময় বসে থাকার কাজ করে থাকে, তাদের কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় হল, রুটিন মাফিক দিনে অন্তত আধাঘণ্টা হাঁটা।
* চিনিযুক্ত ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে। অতিরিক্ত ফাস্টফুড, কোমল পানীয় এবং চকোলেটসহ যে কোনো মিষ্টি খাবার কম খেতে হবে। ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় ফল ও শাকসবজি রাখতে হবে।ডায়বেটিস
* অবশ্যই ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
* যাদের বংশে ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদের অবশ্যই আগে থেকেই সাবধান থাকতে হবে। তাই নিয়মিত তাদের ব্লাড সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করে প্রতিদিন রুটিন মাফিক ব্যায়াম করতে হবে। এতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব হয়। ডায়েবেটিস