একবারডায়বেটিস ধরা পড়া মানে আপনার পুরো জীবনযাত্রাই পাল্টে যায়। এটা খাওয়া যায় না, ওটা খাওয়া যায় না তো আছেই, পাশাপাশি শরীরকে ভিতর থেকে একেবারে ঝাঁঝরা করে দেয় এই রোগ। এই রোগ নিরাময়ের স্থায়ী কোনও চিকিৎসাও নেই।
ডায়বেসিটসের স্থায়ী নিরাময় করা না গেলেও ঘরোয়া কিছু টোটকা রয়েছে যার সাহায্যে ডায়বেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
উচ্ছের জুস বানিয়ে খান বা সিদ্ধ গিলে খেয়ে নিন। তেঁতো হলেও আপনার জীবনের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে পারে উচ্ছে।
ডায়েবেটিসের জন্য ঝিঙের জুস খুব উপকারী
কারি পাতা, অগ্ন্যাশয় কোষে মৃত কোষের সংখ্যা হ্রাস করে। এই কোষ থেকে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় বলে কারিপাতা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অত্যন্ত জরুরী।
নিম পাতাও একটি লাভদায়ী ওষুধ ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে। নিম রক্তা চলাচলের পথ পরিষ্কার করে।
চুল ও ত্বকের পাশাপাশি অ্যালোভেরা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত উপযোগী উপকরণ। এটি রক্তের লিপিড মাত্রা হ্রাস করে রক্তের শর্করার পরিমানের উন্নতি ঘটায়।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মেথির অবদান অনস্বীকার্য়।
গোলমরিচও ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে এক ম্যাজিক উপাদান।
প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায় গ্রীন টি।
আমের পাতা জলে ফুটিয়ে অর্ধেক করে নিন। এবার এই জল ছেঁকে খেয়ে নিন। আমের পাতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
হলুদ রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে তা বলে অত্যধিক পরিমাণে খাবেন না। কারণ বেশি হলুদ খাওয়াটাও উচিত নয়।
আদা শরীরে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে। ফলে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম সেরা ও প্রাচীন উপাদান দারচিনি।
কালো জাম শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ করে।
আমলকি অগ্ন্যাশয়ের কাজ মসৃণ করে। ফলে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ে শরীরে। আমলকি কাঁচা বা রস করেও খেতে পারেন। কিন্তু সকালে খালি পেটে খাবেন।
ডায়বেটিসের রোগীদের জল বেশি করে খাওয়া উচিত। জল ভালমতো না খেলে শরীরের আভ্যন্তরীন যান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে নিয়মিত দ্রুত হাঁটা বা দৌঁড়নো এবং যোগাসন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।